শেখ রাসেলের যখন দেড় বছরের কিছু বেশি বয়স সেসময়টায় বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবি পেশ করেন,তখন পাকিস্তান সরকার রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে এনে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য প্রেরণ করেন।
শিশু রাসেল তখন প্রথম বারের মত মায়ের সাথে কারাগারে পিতাকে দেখতে যান।এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু কারাগারের রোজনামচায় বলেছেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারী দুই বছরের কম বয়সী ছেলে এসে বলে,আব্বা বালি চলো।
কী উত্তর দিব ওকে? ওকে বোঝাতে চেষ্টা করলাম, ওতো বুঝেনা আমি কারাবন্দি। ওকে বললাম তোমার মা’র বাড়ি তুমি যাও,আমি আমার বাড়ি থাকি। আবার আমাকে দেখতে এসো। ও কি বুঝতে চায়? কি করে আমাকে নিয়ে যাবে এই ছোট্ট ছেলেটা, ওর দুর্বল হাত দিয়ে মুক্ত করে এই পাষান প্রাচীর থেকে’।
প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাঁর আদরের ছোট ভাই রাসেলকে নিয়ে লেখা ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ বই থেকে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারি। তিনি বলেছেন, আব্বার সাথে প্রতি পনের দিন পর পর আমরা দেখা করতে যেতাম।রাসেলকে নিয়ে গেলে ও আর আসতে চাইত না।খুব কান্না কাটি করতো। ওকে বোঝানো হয়েছিল আব্বার বাসা জেলখানায় আমরা আব্বার বাসায় বেড়াতে এসেছি। আমরা আমাদের বাসায় চলে যাব। বেশ কষ্ট করে ওকে নিয়ে আসতে হত। তখন আব্বার মনের অবস্থা যে কি হত তা আমরা বুঝতে পারতাম।